কেগেল এক্সারসাইজের উপকারিতা

কেগেল এক্সারসাইজ হচ্ছে শরীরের অভ্যন্তরীণ পেশীগুলোকে শক্তিশালী করার একটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি। এই পেশীগুলো, যাকে পেলভিক ফ্লোর মাসল বা কেগেল পেশী বলা হয়, তলদেশের ভিত্তি তৈরি করে এবং মূত্রাশয়, জ Rahim (গর্ভাশয়), এবং মলদ্বারকে সহযোগিতা করে।


এই ব্লগ পোস্টে, আমরা কেগেল এক্সারসাইজের বিভিন্ন উপকারিতা দেখব:

1. মূত্রনালীর সমস্যা দূরীकरण: দুর্বল পেলভিক ফ্লোর মাসল মূত্রনালীর সমস্যা যেমন প্রস্রাব আটকে রাখতে না পারা বা হঠাৎ প্রস্রাবের ইচ্ছা (আঠালতা) হওয়ার কারণ হতে পারে। নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ এই পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে এই সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করে।

2. যৌন সুখ বৃদ্ধি: পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই শক্তিশালী পেলভিক ফ্লোর মাসল যৌন জীবনে ইতিবাচ চাপ ফেলে। নারীদের ক্ষেত্রে, এটি যোনিপথের সংকোচন বাড়িয়ে যৌনসম্পর্কের সময় আরো বেশি আনন্দদায় अनुभूति (অনুভূতি) দেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে, এটি অকাল বীর্যপাত কমাতে সাহায্য করে।

3. গর্ভাবস্থা ও প্রসবপরবর্তী সুবিধা: গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ পেলভিক ফ্লোর এলাকায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং প্রসবের সময় ঠেলা খাওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। প্রসবের পরেও এই এক্সারসাইজ মূত্রনালীর সমস্যা এবং যোনিপথ ঢিলে হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

4. পাইলসের ঝুঁকি কমায়: দুর্বল পেলভিক ফ্লোর পেশী পাইলসের কারণ হতে পারে। নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ এই পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে পাইলসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

5. সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: শক্তিশালী পেলভিক ফ্লোর মাসল ভালো শরীরী ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি কোমরের ব্যথা কমাতে এবং পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করতে পারে।

কেগেল এক্সারসাইজ শুরু করা:

কেগেল এক্সারসাইজ করা খুবই সহজ। প্রস্রাবের সময় প্রস্রাবের প্রবাহ আটকে দেবার যে পেশী ব্যবহার করেন, সেই পেশীকেই কাজে লাগাতে হবে। এই পেশীকে সংকুচিত করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ছেড়ে দিন।  এই প্রক্রিをもら ১০-১৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে কয়েকবার এই এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করুন।

Previous entry: মহিলাদের কেগেল ব্যায়াম করার উপকারিতা

{footerx}