গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থার খিঁচুনি হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, কিন্তু এটি অন্যতম সাধারণতম কারণ হলো হরমোনাল পরিবর্তন। গর্ভাবস্থা প্রাকৃতিকভাবে একটি সময়সীমা ধারণ করে, যার সাথে সাথে মা ও শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনে হরমোনগুলির স্তর বা পরিমাণ পরিবর্তন হতে পারে, যা গর্ভধারণের ফলে খিঁচুনি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে।


অন্যান্য কারণগুলো হতে পারে:

  • সাধারণতম কারণটি হলো স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন এবং অস্বাস্থ্যকর আহার পদার্থ গ্রহণ। কিছু আহার পদার্থ খাওয়া বা বিভিন্ন কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা গর্ভবতী মায়েদের শারীরিক পরিবর্তন এবং হরমোনের স্তর পরিবর্তন করতে পারে। এটি খিঁচুনি হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা সময়ে স্ত্রীর পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ না থাকলে তা খিঁচুনির জন্য একটি কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপিয়ান ফোলিক এসিড এবং আয়োডাইন গর্ভাবস্থা সময়ে পুরুষোত্তোলনে গর্ভাবস্থার প্রথম ২-৩ মাসের মধ্যে নিয়মিতভাবে নেওয়া উচিত। পুরুষোত্তোলন নিয়ন্ত্রণের অভাবে গর্ভবতী মায়ের খিঁচুনি হতে পারে।
  • কিছু ক্ষেত্রে মেডিকেল সমস্যার জন্য গর্ভবতী মায়ের শরীরে খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েইড সমস্যা, হার্ট রোগ ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের শরীরে খিঁচুনির সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • গর্ভাবস্থায় মায়ের স্তনস্থানে কোন ব্যথা বা সমস্যা হলে তা খিঁচুনির একটি কারণ হতে পারে। স্তনস্থানে ব্যথা যেমন স্তন বাচ্চাকে সারাতে না পারা, স্তনে ইনফেকশন ইত্যাদি খিঁচুনির সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • কিছু ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে স্ত্রীর শারীরিক পরিবেশের অভাব হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অপুষ্টি, পরিবারের সদস্যের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, ব্যাপার চিন্তা, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে গর্ভাবস্থা খিঁচুনির সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • এগুলো মাত্র কিছু উদাহরণ, এবং আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। গর্ভাবস্থার খিঁচুনি হলে প্রথম করে মায়ের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত কোন সমস্যা সনাক্ত করে তারপরে সেটি ঠিক করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন।

Next entry: গর্ভাবস্থায় কেগেল ব্যায়ামের চূড়ান্ত নির্দেশিকা: উপকারিতা, কৌশল এবং নিরাপত্তা টিপস

Previous entry: গর্ভাবস্থা কি কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম সৃষ্টি করতে পারে বা বাড়িয়ে দিতে পারে?

{footerx}