প্রথম ত্রৈমাসিকঃ গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে কী কী ঝুঁকি থাকে

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিক হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়েই গর্ভের শিশুর সবচেয়ে বেশি বিকাশ ঘটে। এ সময় গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বেশি থাকে।



গর্ভপাত

গর্ভপাত হলো গর্ভের শিশুর মৃত্যু। গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভপাতের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১০-১৫% গর্ভধারণ প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভপাতের ফলে শেষ হয়।

গর্ভপাতের অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:

গর্ভধারণের ত্রুটি
জরায়ুর সমস্যা
সংক্রমণ
মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যা
মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহল সেবন
জন্মগত ত্রুটি

জন্মগত ত্রুটি হলো গর্ভের শিশুর জন্মগত শারীরিক বা মানসিক অস্বাভাবিকতা। জন্মগত ত্রুটির অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:

জেনেটিক কারণ
পরিবেশগত কারণ
গর্ভকালীন সংক্রমণ
অন্যান্য জটিলতা

গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে অন্যান্য জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

গর্ভকালীন বমি বমি ভাব এবং বমি
যোনিপথে রক্তপাত
জরায়ুর সংক্রমণ
জরায়ুর বাইরে ভ্রূণ সংস্থান (এক্টোপিক প্রেগনেন্সি)
ঝুঁকি কমানো

গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

গর্ভধারণের আগে এবং পরে ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস
গর্ভকালীন ধূমপান, মদ্যপান, এবং মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা
গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিক হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় গর্ভের শিশুর বিকাশের জন্য ভালো যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

Next entry: গর্ভাবস্থায় সহবাস: নিরাপদ নাকি ঝুঁকিপূর্ণ?

Previous entry: প্রথম ত্রৈমাসিকঃ গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়

{footerx}